সর্বশেষ

Wednesday, October 9, 2024

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজায় অসুর রূপে আরজি করের অভিযুক্ত

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজায় অসুর রূপে আরজি করের অভিযুক্ত

 

ctn news

কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আরজি কর মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম জড়িয়েছে। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তাকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষকে অনেকেই সমাজের অসুর হিসেবে দেখছেন। তাই এবারের দুর্গাপূজায় তার আদলেই অসুরের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এরকম একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।



পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুর স্বর্গধাম সেবক সংঘের দুর্গাপূজার অসুরের মুখ অবিকল আরজি করের অভিযুক্তের মতো তৈরি করা হয়েছে। মৃৎশিল্পী অসীম পাল সেই মূর্তিটি তৈরি করেছেন।

যদিও পূজা কমিটির পক্ষ থেকে এই ধরনের দাবি সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ কিন্তু অসুরের মুখে সন্দীপ ঘোষের প্রতিচ্ছবিই দেখতে পাচ্ছেন।



এক দর্শনার্থী বলেন, ‘যেমন এখানে পশুর বধ হচ্ছে, তেমনই আমরা চাই দোষীরা শাস্তি পাক। তিলোত্তমার অপরাধীরা সাজা পাবে।’


অন্যদিকে, পূজা উদ্যোক্তা বলেন, ‘এবার আমাদের ৭৮তম বর্ষ। প্রতিমা বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। প্রতি বছর মা দুর্গার আলাদা ধরনের অসুর তৈরি করার চেষ্টা করি। তবে সন্দীপ ঘোষকে অসুর বানানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। নারীদের সম্মানহানি নিয়ে কথা অন্য ব্যাপার, কিন্তু প্রতিমার ক্ষেত্রে এমন কোনো ভাবনা আমরা করিনি।’
পাহাড় ও পূজার নিরাপত্তা নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পাহাড় ও পূজার নিরাপত্তা নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

ctn news

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, পাহাড়ে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। পাহাড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালোভাবেই রয়েছে। যারা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও দুর্গা পূজার নিরাপত্তা নিয়েও কোনো উদ্বেগের কারণ নেই।


বুধবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন, পাহাড়ে কারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কিছু লোক সবসময় পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করে। গণমাধ্যম এই বিষয়গুলো ভালোভাবে তুলে ধরেছে। পাহাড়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছে।


তিনি আরও বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুষ্ঠান এটি। তারা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সে জন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে, আপনারা আনন্দঘন পরিবেশে আপনাদের অনুষ্ঠান করতে পারবেন। এখানে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।

Monday, October 7, 2024

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠালেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠালেন।

ctn


পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রেস রিলিজের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ ও ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ চালানোর অভিযোগ তুলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি পাঠিয়েছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান (শাহ আলম)।

চিঠিতে দেশের অর্থনীতিকে ‘রক্ষা’ করতে এবং ‘সাংবাদিক’সহ বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ‘লাখ লাখ’ পরিবারের জীবিকার স্বার্থে এসব ‘অপপ্রচার’ ও ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ বন্ধের ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।


বসুন্ধরার এই চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়েছে যে, সিআইডির প্রেস রিলিজ এবং এর ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘সাজানো’ অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।


কোনো তদন্ত ছাড়াই এই অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান দাবি করেন, ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া’ অনুসরণ না করায় এতে বসুন্ধরা গ্রুপের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, পাশাপাশি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও তাদের পরিবারের জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।


সিআইডির ওয়েবসাইট থেকে এ সংক্রান্ত প্রেস রিলিজ প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ ও ‘মানহানিকর’ প্রচারণা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বসুন্ধরা চেয়ারম্যান।


চিঠিতে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ ও ‘অপপ্রচার’ দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানহানি হওয়ার পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপে কর্মরত সাংবাদিকসহ লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সংকটে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে।


এছাড়া, এসব কারণে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ঋণমান ও ব্যবসা পরিচালনার খরচে (কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস) নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও চিঠিতে সতর্ক করেন আকবর সোবহান।
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের চূড়ান্ত তারিখ জানা গেছে.

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের চূড়ান্ত তারিখ জানা গেছে.

ctn news

 
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এই তথ্য জানান।



এর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং) মাঝপথে বাতিল হওয়া এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।



এই প্রক্রিয়ায়, একজন পরীক্ষার্থী যদি এসএসসিতে কোনো বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নম্বর পেয়ে থাকে এবং সেই বিষয়টি এইচএসসিতেও থাকে, তবে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর এইচএসসিতেও বিবেচনা করা হবে। আর যদি এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় বিষয় ভিন্ন হয়, তবে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।



এই বছর ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়, যেখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথমে প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর সরকার তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে।

তবে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।



এরপর, অনেক পরীক্ষার্থী স্থগিত পরীক্ষা না নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। তাদের বক্তব্য ছিল যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার কারণে তারা চরম মানসিক চাপে রয়েছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে আন্দোলনের চাপের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
অসময়ের অতিবৃষ্টি, বিপদ বাড়াচ্ছে পূর্বালী হাওয়া

অসময়ের অতিবৃষ্টি, বিপদ বাড়াচ্ছে পূর্বালী হাওয়া

ctn

চাঁদপুরে শুক্রবার পুরো দিনে ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই দিনে উত্তরের ব্রহ্মপুত্র থেকে পদ্মা অববাহিকার অন্তত ১১টি জেলায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতেও বর্ষার শেষ সময়ে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, তিন দিন ধরে দেশের বিস্তৃত এলাকায় এত প্রবল বৃষ্টি হওয়াটা বিরল। এর প্রধান কারণ হিসেবে তাঁরা অস্বাভাবিক শক্তিশালী পুবালি বাতাস ও মৌসুমি বায়ুকে দায়ী করছেন।


তাঁদের মতে, গত আগস্ট থেকে পুবালি বাতাস অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী আচরণ করছে, যা মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে মিলে অতি ভারী বৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুবালি বাতাসের সঙ্গে ঘূর্ণি বাতাস মিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অতিবৃষ্টি ঘটাচ্ছে। এর সঙ্গে উজান থেকে আসা ঢলের যোগে এই বছর রেকর্ড ৯ বার দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে।

কিছুদিন পরপর অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে আসা ঢলে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা শহর ডুবে গেছে। এর আগে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং লক্ষ্মীপুরও প্রবল বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। গত এক মাসে অস্বাভাবিক বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অন্তত ২০টি ছোট শহর ও জেলা বিপর্যস্ত হয়েছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এ বছরের বর্ষা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। বৃষ্টির পরিমাণও ৩০ শতাংশ বেশি হয়েছে, এবং বর্ষার মেয়াদও দীর্ঘায়িত হয়েছে। সাধারণত অক্টোবরের শুরুতেই বর্ষা বিদায় নেয়, তবে এবার তা দিন দিন আরও তীব্র হয়েছে। বিশেষত আগস্ট থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর এবং চলমান অক্টোবরে বর্ষা তার আগ্রাসী রূপ বজায় রেখেছে।


আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা জানান, চলমান বৃষ্টি আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষত রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকতে পারে।


বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রবল বর্ষা এবং ভারত থেকে আসা পানির কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি বন্যা হয়েছে। সিলেটে তিনবার, ফেনী-কুমিল্লায় তিনবার, তিস্তাপারে রংপুরে একবার, চট্টগ্রামে একবার, এবং সর্বশেষ শেরপুর ও নেত্রকোনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকা, পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, চাঁদপুর ও ময়মনসিংহসহ ২০টি জেলা শহরে জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের চারটি জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত রয়েছে। শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরের নিম্নাঞ্চলের পর এবার চাঁদপুর ও মাদারীপুরসহ দেশের মধ্যাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলোতেও পানি জমে গেছে। অমাবস্যার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে এসব অঞ্চলের চরগুলো তলিয়ে গেছে।


এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সাধারণত গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা অববাহিকায় প্রতিবছর একাধিকবার বন্যা হয়। তবে এবার সেই এলাকাগুলোতে বন্যা ও বৃষ্টি তুলনামূলক কম হয়েছে, আর দেশের ছোট নদ-নদীর অববাহিকায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফেনী, শেরপুর, চাঁদপুর ও সিলেটের মতো ছোট ও মাঝারি জেলাগুলোতে এ কারণে বন্যার তীব্রতা বেড়েছে।


বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ১১৬টি পয়েন্টের মধ্যে ৮৫টিতে পানির উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর ৩১টিতে পানি কমছে। রোববার (আজ) ময়মনসিংহ বিভাগের ভোগাই, কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে এরপর ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করবে।

Sunday, October 6, 2024

বাংলাদেশি পাসপোর্ট ধারীরা বিনা ভিসায় যেতে পারবে যে সকল দেশে...

বাংলাদেশি পাসপোর্ট ধারীরা বিনা ভিসায় যেতে পারবে যে সকল দেশে...

ctn daily news


বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান উন্নত হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাগরিকত্ব ও পরিকল্পনা সংস্থা 'দ্য হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স' এর প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে এই তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের শক্তি মূল্যায়ন করে এই তালিকা প্রকাশ করে। ২০২০ সালের র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে ৯৮তম অবস্থানে এসেছে। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ এই তালিকায় ছিল ৬৮তম স্থানে, তবে এরপর ক্রমান্বয়ে অবনতি হয়, ২০১৮ সালে এটি ১০০তম অবস্থানে নেমে আসে, আর ২০১৯ সালে ছিল ৯৯তম স্থানে।


একটি দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করা যায়, সেই ভিত্তিতে এই র‌্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি হলেও, বাংলাদেশিদের জন্য ‘ভিসা ফ্রি’ সুবিধা প্রাপ্ত দেশের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বর্তমানে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়। এর মধ্যে এশিয়ার ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব তিমুর উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আফ্রিকার ১৬টি, ওশেনিয়ার ৭টি এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১২টি দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ভিসা ফ্রি’ সুবিধা রয়েছে।


সম্প্রতি বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) যুগে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ই-পাসপোর্টের প্রবর্তন বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। বিদেশে ভ্রমণের সময় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াও আরও সহজ হবে।


সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, পাসপোর্টের মাধ্যমে আসলে পরোক্ষভাবে একজন নাগরিকের মূল্যায়ন করা হয়। এই র‌্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনার দেশ এবং পাসপোর্ট সম্পর্কে অন্যান্য দেশের মূল্যায়ন কেমন। পাসপোর্টের র‌্যাংকিং শুধু দেশের অর্থনীতি নয়, শাসন ব্যবস্থা এবং দেশের মানুষের সার্বিক অবস্থার প্রতিফলন হিসেবেও গণ্য করা হয়।


তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে পাসপোর্টের মান নির্ধারণ করা হয়। কোনো পাসপোর্টের মূল্য কতটা বেশি বা কম তা নির্ভর করে সেই পাসপোর্টের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ওপর। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ব্রিটিশ বা আমেরিকান পাসপোর্ট জাল করা অত্যন্ত কঠিন, যেখানে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট জাল করা সহজ। যে দেশগুলোর পাসপোর্টের মূল্য বেশি, ধারণা করা হয় যে সেসব দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী, অর্থনীতি সমৃদ্ধ এবং শাসনব্যবস্থা মজবুত। সেই দেশগুলোর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে।


তিনি আরও বলেন, পাসপোর্টের র‌্যাংকিংয়ে উপরের দিকে থাকা দেশের নাগরিকেরা ভিসার জন্য আবেদন করলে তুলনামূলক ভালো ব্যবহার পেয়ে থাকেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তি প্রক্রিয়া সহজ হয়। অন্যদিকে, র‌্যাংকিংয়ে নিচের দিকে থাকা পাসপোর্টধারীদের জন্য দূতাবাসগুলো প্রায়শই অতিরিক্ত তথ্য চায় এবং ভিসা আবেদন নাকচ করার প্রবণতাও বেশি থাকে।


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাসপোর্টের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ, যার অবস্থান ৬১তম। মালদ্বীপের পাসপোর্ট দিয়ে ৮৫টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায়। এই অঞ্চলে মালদ্বীপের পরে ভারতের পাসপোর্ট রয়েছে ৮৪তম অবস্থানে, যার মাধ্যমে ৫৮টি দেশে ভিসাবিহীন প্রবেশ করা সম্ভব। শ্রীলংকা ৯৭তম, নেপাল ১০১তম এবং পাকিস্তান ১০৪তম স্থানে রয়েছে।


এই র‌্যাংকিংয়ে মোট ১০৭টি দেশের পাসপোর্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে জাপান, যার পাসপোর্টধারীরা ১৯১টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৯০। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর, যাদের পাসপোর্টে ১৯০টি দেশে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা রয়েছে। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট, যা ১৮৯টি দেশে ভিসাবিহীন ভ্রমণের সুযোগ দেয়। শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় পরবর্তী ১৩টি দেশ ইউরোপের।


দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে জার্মানির পাসপোর্ট, যা ১৮৯টি দেশে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা দেয়। চতুর্থ স্থানে আছে ইতালি ও ফিনল্যান্ড। পঞ্চম স্থানে রয়েছে স্পেন, লুক্সেমবুর্গ ও ডেনমার্কের পাসপোর্ট। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সুইডেন ও ফ্রান্স। এরপরের অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসহ ৫টি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য যৌথভাবে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে, তাদের পাসপোর্টে ১৮৪টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ আছে।

Saturday, October 5, 2024

প্রথম রাত তাই চিৎকার করতে পারিনি....

প্রথম রাত তাই চিৎকার করতে পারিনি....

ctn daili news

 



সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রাম নিতে গিয়ে চোখে ঘুম নিয়ে বিছানায় শুয়েছেন। হঠাৎ ইমারজেন্সি থেকে কল এলো। ক্লান্ত চোখে ইমারজেন্সিতে গিয়ে যা দেখলেন, তাতে হতবাক হওয়ার মতো অবস্থা। এক মহিলা রোগী, যার পরনের চাদর রক্তে ভেজা। মুখ ফ্যাকাসে, সাদা। দেখে বোঝা যায়, নতুন বিয়ে হয়েছে।


রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হিষ্ট্রি নেওয়ার জন্য ডাক্তার জিজ্ঞাসা করলেন, "কি হয়েছে?" সঙ্গে সদ্য বিবাহিত স্বামী, জা এবং আরও ৪/৫ জন লোক এসেছে। ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই স্বামী চুপিচুপি রুম থেকে বেরিয়ে গেল। রোগীর সাথে আসা এক মহিলা রাগের সাথে বলল, "ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না নাকি! সব কি আর বলতে হবে?"


ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাঁধা মাইকে বিয়ের গান বাজছিল একটার পর একটা। বিয়ে বাড়িতে সবাই ব্যস্ত, আর বরপক্ষ নিজেদের অভিজাত দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত। যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়। তবে কনের বয়স ছিল খুব কম। মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫তে পড়েছে ফুলি বেগম। মেয়ের বাবা লাল শাড়ি পরিয়ে বিদায় দিতে পেরে খুশি—মেয়ে হলে বিদায় দিতে তো হবেই। মেয়েকে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়ানো হয়েছে, তাও তো কম না! ছেলেও নাকি ভালো, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।


বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফুলিকে তার নতুন ঘরে আনা হলো। যে মেয়েটি জীবনের অর্থ বুঝতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রেখেছে, সে কিছু বোঝার আগেই আজ তার বাসর রাত। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সতীত্ব যাচাইয়ের এক নির্মম উৎসব। বিয়ে শুধু সামাজিক বৈধতা পেতে হলেও, ফুলির মতামত নেওয়া হয়নি। পরিবারের চাপের মুখে এই বিয়ে। এ ধরনের বিয়ে আদতে একটি ধর্ষণের শামিল। ফুলি চিৎকার করতে চেয়েছিল, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, তা সে জানে। সে হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার আগ্রাসন থেকে মুক্তির বৃথা চেষ্টা করছিল।


যখন সমাজ অনুমোদিত 'বর' তার আদিম প্রবৃত্তি থেকে বাস্তবে ফিরে এলো, তখন ফুলি রক্তে ভেজা। রক্তের ফিনকি তখনও থামেনি। ফুলির মুখ ক্রমশ সাদা হয়ে আসছিল। এখন সে হাসপাতালের বেডে অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার সময়, ফুলির চোখ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দিকে পড়েছিল, যারা কানাকানি করে ব্যাঙ্গাত্মক হাসি হাসছিল।