বর্তমানে আর জি করের ঘটনার পর সমগ্র ভারত ক্ষোভে উত্তাল। টলিউড থেকে বলিউড পর্যন্ত একের পর এক তারকা যৌন হেনস্তা নিয়ে মুখ খুলছেন, ভূমি পেড়নেকরও সেই তালিকায় আছেন। এই ঘটনার পর নতুন করে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভূমি কলকাতায় লিঙ্গবৈষম্য ও নারী নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিনয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। যুগ যুগ ধরে চলে আসা অত্যাচারে নারীদের ভোগান্তি নিয়ে তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ভূমি বলেছেন, এককথায় এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তবে এবার মেয়েদের মুখ খোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলেছেন তিনি। নারীদের প্রতি মুহূর্তে যেসব অত্যাচার ঘটে, তা সমাজের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের উদাহরণ টেনে ভূমি বলেন, দেশের প্রতিটি পরিবারের মেয়েরা কোনো না কোনোভাবে হেনস্তার শিকার। আমিও সেই অভিজ্ঞতা পেয়েছি, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। দিনের পর দিন সেই ঘটনা মনের ভেতর পুষে রেখেছি, যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলেছে। তাঁর মতে, হেনস্তার শিকার হওয়ার পরও মেয়েরা লোকলজ্জার ভয়ে নীরব থাকে। এটি যেন একটি সাঁড়াশি আক্রমণ, যার ভারে মেয়েরা জর্জরিত ও ক্লান্ত, অথচ সমাধান মেলে না।
ভূমি মনে করেন, সমস্যা যেমন আছে, তার সমাধানও রয়েছে। তিনি ঘর থেকেই পরিবর্তন আনতে চান। তাঁর মতে, নারী যেমন পুরুষকে সম্মান করবে, তেমনি পুরুষকেও নারীদের সম্মান করতে শিখতে হবে। এতে লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে। ভূমির দ্বিতীয় পরামর্শ, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এটি শুরু হবে টেকনিশিয়ানদের পর্যায় থেকে এবং শেষ হবে পরিচালনার স্তরে। মেয়েদের শুধু বললেই হবে না, তাঁদের কথাও গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। পোশাক বা আচরণ—সবকিছু নিয়ে মেয়েদের সারাক্ষণ সমালোচনা করা হয়, যা ভূমির মতে নারী হেনস্তার অন্যতম কারণ।
ভূমি পেড়নেকর শিশুদের মানবিক বিকাশের ওপরও গুরুত্ব দেন। কারণ, তাঁর মতে, এখনকার শিশুরা আগের তুলনায় অনেক বেশি অমানবিক হয়ে উঠছে। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তারা কুকুরের লেজে বাজি বেঁধে জ্বালিয়ে দেয়! ভূমির মতে, যদি শিশুদের মধ্যে মানবিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তারা ভবিষ্যতে বিবেকবান ও সৎ মানুষে পরিণত হবে।
.png)
0 coment rios: